ঢাকা ০৯:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৮ মে ২০২৪, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সিলেটের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:৪২:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৮
  • ৪১২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটির কারণে সিলেট নগরী এখন ফাঁকা। যানজট ও কোলাহলমুক্ত নগরীতে নেই প্রাণচাঞ্চল্যতা। নগরীর ব্যস্ততম এলাকাতেও নেই মানুষের ভিড়। তবে ঈদের পরদিন সিলেটের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে লক্ষ্য করা গেছে উপচেপড়া ভিড়।

বৃহস্পতিবার সিলেটের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের সমাগম ছিল লক্ষণীয়। মানুষের পদচারণায় মুখর সিলেটের প্রায় প্রতিটি বিনোদনকেন্দ্রই। সিলেট নগরী ও শহরতলীর পার্ক ও পর্যটনকেন্দ্রে বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায়।

নগরীর ভেতরে থাকা কাজীরবাজার সেতু, কিনব্রিজ এলাকাতে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। দুপুরের পর থেকে নগরীর ধোপাদিঘীরপাড়স্থ সিলেট ওসমানী শিশু উদ্যান, গোলাপগঞ্জের হিলালপুরের ড্রিমল্যান্ড অ্যামিউজম্যান্ট পার্ক, সিলেট বিমানবন্দর সড়কের সিলেট পর্যটন মোটেল, অ্যাডভেঞ্চার ওয়ার্ল্ড, টিলাগড় ইকোপার্কসহ, সিলেট এমসি কলেজে ছিল মানুষের পদচারণা।

এছাড়া বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে সুরমা নদীর ওপর নির্মিত কাজীরবাজার সেতুটি। নির্মল বাতাস আর মুক্ত নিঃশ্বাসের সুযোগ নিতে ভিড় করছেন শত শত পর্যটক। ব্রিজের দুই পাশে সারিবদ্ধ পর্যটকদের ভিড় আর আড্ডায় মুখ সেতুটি।

সিলেট ওসমানী শিশু পার্ক সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পার্ক খোলা থাকে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। বিকেলের দিকে দর্শনার্থীদের চাপ বেড়ে যায়। শুক্র ও শনিবার দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, ড্রিমল্যান্ড পার্কে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে ভ্রমণপিপাসুদের ভিড় শুরু হয়। বিশেষ করে এখানকার ওয়াটার পার্ক বেশি মানুষ দেখা গেছে।

বিমানবন্দর এলাকার বাসিন্দা সুহেল আহমদ বলেন, আমি ঈদের ছুটিতে আমার ছেলে-মেয়ে ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি। নগরীর কাজীরবাজার ব্রিজ, কিনব্রিজসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরেছি। ড্রিমল্যান্ড পার্কে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।

এদিকে নগরী ও শহরতলির বিনোদন কেন্দ্রগুলো ছাড়াও গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি, জাফলং, পান্তুমাই ও জৈন্তাপুরের লালাখালেও তরুণ-তরণীদের ভিড় চোখে পড়েছে। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে এসব স্থানে ঘুরতে এসেছেন।

জানা গেছে, এসব স্থানে ভ্রমণপিপাসুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্ক রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। সড়কগুলোর অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে পর্যটক কিছুটা কম। তবে আগামী কয়েকদিনে পর্যটক আরও বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সিলেটের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল

আপডেট টাইম : ০৯:৪২:৪১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ অগাস্ট ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটির কারণে সিলেট নগরী এখন ফাঁকা। যানজট ও কোলাহলমুক্ত নগরীতে নেই প্রাণচাঞ্চল্যতা। নগরীর ব্যস্ততম এলাকাতেও নেই মানুষের ভিড়। তবে ঈদের পরদিন সিলেটের বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে লক্ষ্য করা গেছে উপচেপড়া ভিড়।

বৃহস্পতিবার সিলেটের বিভিন্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে মানুষের সমাগম ছিল লক্ষণীয়। মানুষের পদচারণায় মুখর সিলেটের প্রায় প্রতিটি বিনোদনকেন্দ্রই। সিলেট নগরী ও শহরতলীর পার্ক ও পর্যটনকেন্দ্রে বুধবার বিকেল থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা যায়।

নগরীর ভেতরে থাকা কাজীরবাজার সেতু, কিনব্রিজ এলাকাতে মানুষের ভিড় দেখা গেছে। দুপুরের পর থেকে নগরীর ধোপাদিঘীরপাড়স্থ সিলেট ওসমানী শিশু উদ্যান, গোলাপগঞ্জের হিলালপুরের ড্রিমল্যান্ড অ্যামিউজম্যান্ট পার্ক, সিলেট বিমানবন্দর সড়কের সিলেট পর্যটন মোটেল, অ্যাডভেঞ্চার ওয়ার্ল্ড, টিলাগড় ইকোপার্কসহ, সিলেট এমসি কলেজে ছিল মানুষের পদচারণা।

এছাড়া বিনোদনের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে সুরমা নদীর ওপর নির্মিত কাজীরবাজার সেতুটি। নির্মল বাতাস আর মুক্ত নিঃশ্বাসের সুযোগ নিতে ভিড় করছেন শত শত পর্যটক। ব্রিজের দুই পাশে সারিবদ্ধ পর্যটকদের ভিড় আর আড্ডায় মুখ সেতুটি।

সিলেট ওসমানী শিশু পার্ক সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত পার্ক খোলা থাকে। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে দর্শনার্থীদের ভিড় বাড়তে শুরু করেছে। বিকেলের দিকে দর্শনার্থীদের চাপ বেড়ে যায়। শুক্র ও শনিবার দর্শনার্থীদের সংখ্যা বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে, ড্রিমল্যান্ড পার্কে বৃহস্পতিবার দুপুরের পর থেকে ভ্রমণপিপাসুদের ভিড় শুরু হয়। বিশেষ করে এখানকার ওয়াটার পার্ক বেশি মানুষ দেখা গেছে।

বিমানবন্দর এলাকার বাসিন্দা সুহেল আহমদ বলেন, আমি ঈদের ছুটিতে আমার ছেলে-মেয়ে ও পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছি। নগরীর কাজীরবাজার ব্রিজ, কিনব্রিজসহ বিভিন্ন স্থানে ঘুরেছি। ড্রিমল্যান্ড পার্কে যাওয়ার ইচ্ছা আছে।

এদিকে নগরী ও শহরতলির বিনোদন কেন্দ্রগুলো ছাড়াও গোয়াইনঘাট উপজেলার বিছনাকান্দি, জাফলং, পান্তুমাই ও জৈন্তাপুরের লালাখালেও তরুণ-তরণীদের ভিড় চোখে পড়েছে। অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে এসব স্থানে ঘুরতে এসেছেন।

জানা গেছে, এসব স্থানে ভ্রমণপিপাসুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সতর্ক রয়েছে পুলিশ প্রশাসন। সড়কগুলোর অবস্থা খারাপ হওয়ার কারণে পর্যটক কিছুটা কম। তবে আগামী কয়েকদিনে পর্যটক আরও বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।